শীতকালে প্রধানত শিশুরা নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি, সর্দি ও হাঁপানিতে বেশি আক্রান্ত হয়। আর মৌসুমি জ্বর তো আছেই।
সাধারণত অপুষ্ট, কম ওজনের শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। শীতে শিশুর নিউমোনিয়া সব থেকে বিপদজন।
নিউমোনিয়া কি?
ফুসফুসের এক ধরনের সংক্রমণকে নিউমোনিয়া বলে। এটি সাধারণত শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহের কারণে হয়।
যখন এই প্রদাহ ব্যাকটেরিয়া বা সংক্রমণের কারণে হয় তখন তাকে নিউমোনিয়া বলে।
শীতে শিশুর নিউমোনিয়া ও অন্যসব থেকে সতর্কতা
- শিশুকে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস করান
- খাবার তৈরি করার সময় ডায়াপার পরিবর্তন করার সময় এবং সর্দি নাক মোছার সময় হাত পরিষ্কার করুন
- শিশুকে তার চোখ ও নাক স্পর্শ না করে খেয়াল রাখুন। একটি শিশু যখন তার চোখ এবং নাক স্পর্শ করে তখন তার হাত থেকে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে
- যদি আপনার সন্তানের জ্বর, বমি, ডায়রিয়া এবং চোখের সংক্রমণ থাকে, তাহলে তাকে অন্য শিশুদের থেকে দূরে রাখুন।
- শিশু অসুস্থ হলে নিয়মিত মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
- সর্দি হলে আপনার সর্দি বা হাঁচি মুছতে রুমাল বা টিস্যু পেপার ব্যবহার করুন
- সর্দি না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
- শীতকালে শিশুদের নিয়ে শপিংমল, সিনেমা এবং বাস ভ্রমণ ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে।
- ছয় মাসের কম বয়সী শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে সে নিউমোনিয়ার প্রতি অনেক বেশি প্রতিরোধী হবে।
- যেসব শিশুর বয়স ছয় মাসের বেশি, তাদের মায়ের দুধের সাথে অতিরিক্ত খাবার হিসেবে খিচুড়ি, দেশি ফল, শাকসবজি দেওয়া হলে খাবারের মাধ্যমে শিশুর পুষ্টি বজায় রাখা যায়।
- শীতকালে নিউমোনিয়া থেকে শিশুকে বাঁচাতে গোসলের সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। গোসলের সময় স্যাভলন, ডেটল বা অনুরূপ জীবাণুনাশক দেওয়া উচিত নয়।
- ধুলাবালি থেকেও দূরে রাখতে হবে।
চিকিৎসার
প্রাথমিক পর্যায়ে নিউমোনিয়া ধরা পড়লে ১৫ দিন চিকিৎসার পর শিশু ভালো হয়ে যায়।
আর ভাইরাল ফিভারও ৩ থেকে ৫ দিনে সেরে যায়। শিশুকে জন্ম থেকেই সমস্ত টিকা দিন। টিকার সাথে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলও খাওয়াতে হবে।
নিয়মিত টিকাদান শিশুদের বিভিন্ন মারণ রোগ থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
টানা তিন দিনের বেশি শিশু অসুস্থ থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অন্যান্য পোস্ট আরো পড়ুন